নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ফিক্সড ডিপোজিটের ২৩৮ কোটি টাকা ১৪টি ব্যাংকে স্থানান্তর করা হয়েছে। বিসিবি থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার আগেই বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে শুরু হয় জোর আলোচনা।
প্রথমে এ নিয়ে সদুত্তর দিতে না পারলেও পরে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ এবং বোর্ড কর্তৃপক্ষ বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘বিসিবির সাথে আমার কথা হয়েছে। এফডিআর তাদের আয়ের একটা উৎস। ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাংক থেকে সরিয়ে এখন যেখানে এফডিআর করা হয়েছে সেখানে ইন্টারেস্ট রেটও ভালো। এক্ষেত্রে কোনও অনিয়ম হয়েছে কি না তা আমরা দেখবো। সরকারি যেকোনো প্রতিষ্ঠানকে বলবো, ভালো ব্যাংকে টাকা রাখতে।’
এর আগে বিসিবি সভাপতি যুক্তি দিয়ে বলেন, ‘রেড জোন থেকে গ্রিন আর ইয়োলো জোনের ব্যাংকে নিয়ে গেছি টাকা। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে আছে ১২ কোটি টাকা। মোট আড়াইশ কোটি। এর বিনিময়ে আমরা ১২ কোটি টাকার স্পনসর পেয়েছি, আর ২৫ কোটি টাকার অবকাঠামো নির্মাণের প্রতিশ্রুতি পেয়েছি।’
শনিবার (২৬ এপ্রিল) বিসিবির এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘২০২৪ সালের আগস্টে সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণের পর জনাব ফারুক আহমেদ আর্থিক স্বার্থ সংরক্ষণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেন। অর্থনৈতিক সংকটের প্রেক্ষাপটে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাংক থেকে অর্থ সরিয়ে কেবল গ্রিন ও ইয়েলো জোনভুক্ত ব্যাংকে আমানত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘২৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করে এর মধ্যে ২৩৮ কোটি টাকা নিরাপদ ব্যাংকগুলোতে পুনঃবিনিয়োগ করা হয়। অবশিষ্ট ১২ কোটি টাকা বিসিবির বিভিন্ন ব্যয় নির্বাহের জন্য নির্ধারিত হয়।’
বিসিবির বিবৃতি অনুযায়ী, বোর্ড সভাপতি একক সিদ্ধান্তে কোনো আর্থিক লেনদেন পরিচালনা করেননি। অর্থ লেনদেনের দায়িত্বে ছিলেন ফাইনান্স কমিটির চেয়ারম্যান ফাহিম সিনহা ও টেন্ডার ও পারচেজ কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবুল আনাম।
এছাড়া বলা হয়, ‘সেপ্টেম্বর ২০২৪ থেকে এখন পর্যন্ত বিসিবি ১৩টি নির্ভরযোগ্য ব্যাংকের সঙ্গে ব্যাংকিং সম্পর্ক বজায় রেখেছে, যার ফলে ২-৫ শতাংশ অতিরিক্ত মুনাফা অর্জন সম্ভব হয়েছে।’
গত ছয় মাসে বিসিবি ১২ কোটি টাকার স্পনসরশিপ পেয়েছে এবং অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য ২০ কোটি টাকার বিনিয়োগের আশ্বাস পেয়েছে বলে জানানো হয়েছে।