নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিতর্কিত পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল হক ডাবলু এবারের পুলিশ সপ্তাহে পদক পাচ্ছেন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য ও আওয়ামী আদর্শে বিশ্বাসী এ কর্মকর্তা বর্তমানে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে কর্মরত।
পুলিশ সপ্তাহের পদকপ্রাপ্তদের তালিকায় মনিরুল হক ডাবলুর নাম ৩৮ নম্বরে রয়েছে। তবে দলীয় পরিচয় এবং অতীত কর্মকাণ্ড নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এর আগে নিউ মার্কেট থানায় কর্মরত থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম বাবুর ডিও লেটার ব্যবহার করে ওসি পদে পদায়ন হয়েছিলেন তিনি। পরে আশুলিয়া থানায় ওসি পদে যোগ দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন এবং পরে তাকে ক্লোজড করা হয়।
অন্যদিকে, সাহসী ও নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখা অনেক পুলিশ কর্মকর্তা পদক তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে ২০১৪ সালের বিতর্কিত নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র দখল প্রতিরোধকারী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) বশির উদ্দিন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পক্ষে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া অতিরিক্ত ডিআইজি মনিরুজ্জামান এবং বিপ্লবী ভূমিকা পালনকারী ডিআইজি ব্যারিস্টার জিল্লুর রহমান পদক তালিকায় স্থান পাননি।
সূত্র জানায়, এবারের পুলিশ সপ্তাহের পদকের জন্য ৬২ জনকে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে ২১ জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। এ নিয়ে পুলিশ বাহিনীর মধ্যেই ক্ষোভ বিরাজ করছে। অনেকেই অভিযোগ করেছেন, বরাবরের মতো এবারও রাজনৈতিক আনুগত্য ও লবিংয়ের ভিত্তিতে পদক দেওয়া হয়েছে।
পদকপ্রাপ্তদের আগামী ২৯ এপ্রিল রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স প্যারেড গ্রাউন্ডে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে। তিন দিনব্যাপী পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাদের ব্যাজ পরিয়ে দেবেন।
তালিকায় আরও রয়েছেন- সাবেক আইজিপি ময়নুল ইসলাম, র্যাব মহাপরিচালক একেএম শহিদুর রহমান, সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজসহ একাধিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বশির উদ্দিন বলেন, “পদক নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। আমি কখনো অন্যায়ের সঙ্গে আপস করিনি।” অতিরিক্ত ডিআইজি মনিরুজ্জামান বলেন, “মানুষের ঘৃণার পাত্র হয়ে পুলিশে চাকরি করতে চাইনি, তাই পদত্যাগ করেছি।”