বিশ্বকাপ মানেই ভারত-পাকিস্তান হাইভোল্টেজ ম্যাচ। এই একটি ম্যাচই যেন পুরো বিশ্বকাপের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। গত কয়েকটি বছর এমনই হয়ে আসছে। আবার সর্বশেষ বিশ্বকাপগুলোতে ভারতের মুখোমুখি হলেই পাকিস্তান সবচেয়ে বেশি ভোগে বিরাট কোহলির কাছে। সেই কোহলিকেই থামানোর পথ খুঁজছে এবার পাকিস্তান।
আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের লড়াই ৯ জুন, নিউ ইয়র্কে। আয়ারল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে রওনা হওয়ার আগে সাংবাদিকদের বাবর জানিয়েছেন, বিরাটকে থামানোর জন্য তারা প্রয়োজনীয় রণনীতি তৈরি করবেন। বাবর বলেন, ‘আমরা সব দলের বিরুদ্ধেই রণনীতি তৈরি করছি। বিরাট কোহলি বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার। আমরা ওর বিরুদ্ধেও পরিকল্পনা করব।’
২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৫৩ বলে ৮২ রান করে প্রায় একাই পাকিস্তানকে হারিয়েছিলেন কোহলি। যা এখনও ভুলতে পারেননি বাবর। এদিনই আবার বড় ঘোষণা করা হল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে। জানানো হয়েছে বিশ্বকাপ জিততে পারলে প্রত্যেক ক্রিকেটারকে ১ লাখ ডলার করে অর্থ পুরস্কার দেওয়া হবে।
সোমবারই আয়ারল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে রওনা হয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। তার আগে রোববার ক্রিকেটারদের সঙ্গে প্রায় দু’ঘণ্টার বৈঠক করেন বোর্ডের চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। এরপরই এই পুরস্কারমূল্যের কথা ঘোষণা করেন তিনি।
২০০৯ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয় করে পাকিস্তান। ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের পর থেকেই পাক ক্রিকেটে ডামাডোল চলছে। নাকভি ক্রিকেটারদের আরও বলেছেন, ‘বাইরের কোনও কথায় কান দেওয়ার দরকার নেই। শুধুমাত্র পাকিস্তান জার্সির কথা ভেবে খেল। দলগত পারফরম্যান্সেই জয় আসবে।’