সিরাজগঞ্জে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সঙ্গে গোপন বৈঠকের অভিযোগে করা মামলায় পাঁচ প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ ছয়জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৭ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ বিল্লাল হোসাইন তাদের জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী শওকত আলী সেলিম বলেন, এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর সঙ্গে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের গোপন বৈঠকের ঘটনায় গতকাল ছয়জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তারা আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। বিচারক বৃহস্পতিবার (৯ মে) শুনানির দিন ধার্য করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এরআগে রোববার (৫ মে) রাত ৯টার দিকে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের বনবাড়িয়া কাদাই পার্কে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের নিয়ে গোপন বৈঠক করেন চেয়ারম্যান প্রার্থী রিয়াজ উদ্দিন। পরে পার্কে দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে প্রিসাইডিং ও চেয়ারম্যান প্রার্থীকে পাওয়া যায়নি। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পার্কের ম্যানেজারসহ তিনজনকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়।
জিজ্ঞাসাবাদ ও সিসিটিভির ফুটেজের ভিত্তিতে ঘটনার সত্যতা পায় প্রশাসন। পরে রাতে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে আটজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ২০ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেন।
এ ঘটনায় চেয়ারম্যান প্রার্থী রিয়াজ উদ্দিনকে শোকজ করেছে নির্বাচন কমিশন।
পাঁচ প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হলেন যমুনা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও রাশিদাজ্জোহা সরকারি মহিলা কলেজ ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম, এসবি রেলওয়ে কলোনি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ওমর আলী কওমি মহিলা মাদরাসা কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক ও এসবি রেলওয়ে কলোনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আবুসামা, বাহুকা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক ও বনবাড়িয়া পাইকপাড়া মডেল স্কুল কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বাচ্চু কুমার ঘোষ এবং জনতা ব্যাংক শহরের এসবি ফজলুল হক সড়ক শাখার সিনিয়র প্রিন্সিপাল কর্মকর্তা ও হরিণা বাগবাটি স্কুল কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ইয়াসিন আরাফাত।