পৃথিবীর কোনো দেশেই গণতন্ত্র শতভাগ পারফেক্ট নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, আমরাও পারফেক্ট এমন দাবি করি না। তবে গণতন্ত্রকে ত্রুটিমুক্ত করার চেষ্টা আমাদের রয়েছে। গণতন্ত্রকে ম্যাচুউরড করতে আপ্রাণ চেষ্টা চলছে।
সোমবার (৬ মে) বিকেলে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের বলেন, গণতন্ত্রের প্রতি বিএনপির আগ্রহ কোনোদিনই ছিল না। দলটি ৭৫ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। ১৫ ফেব্রুয়ারি মাগুরা মার্কা প্রহসনের নির্বাচন, এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার, হ্যাঁ/না ভোটে ১১৪ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি- এসবই বিএনপির সৃষ্টি।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করার কাজটি করেছেন শেখ হাসিনা। নির্বাচন কমিশনকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অধীন থেকে মুক্ত করে আইন করে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন তিনি। ৮২টি সংশোধনী এনেছেন। আর বিএনপি কী করেছে?
উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের অনেকেই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সেতুমন্ত্রী বলেন, তাদের নিবৃত্ত করার জন্য দলের বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এক্ষেত্রে তাদের আরও উদ্যোগ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
এর আগে আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে বৈঠক করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বৈঠকে আলোচনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে সমসাময়িক পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ করে সাংগঠনিক বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ১৭ মে বঙ্গবন্ধুকন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন করবো। সেদিন সকালে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলো নেত্রীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবে। সারাদেশে উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত কর্মসূচি পালন করা হবে। দুপুরে দেশের মসজিদ-মন্দিরসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনা কর্মসূচি পালিত হবে।
তিনি বলেন, স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ১৬ মে দুপুরে অসচ্ছল গরিব সাধারণ মানুষের মাঝে খাদ্য বিতরণ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এদিন বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ অফিসের অডিটোরিয়ামে। সাজসজ্জা যেটা হবে- ব্যানার ফেস্টুন, বিল বোর্ড আইল্যান্ডগুলো সজ্জিত করা হবে ১৭ মে। আলোকসজ্জা কর্মসূচি থাকবে না।