ভারতের লোকসভায় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের মাধ্যমে সরকার গঠন করতে হলে একটি দলকে অন্তত ২৭২টি আসন পেতে হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত পাওয়া ভোটের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, বিজেপি কিংবা কংগ্রেস- কেউই এককভাবে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক আসন পায়নি।
কাজেই ক্ষমতার আসনে বসতে হলে তাদেরকে অন্যদলের সঙ্গে জোট গঠন করতে হবে বলেই মনে হচ্ছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট এখন পর্যন্ত মোট ২৯৪টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। অন্যদিকে, রাহুল গান্ধীর ইন্ডিয়া জোট এগিয়ে আছে ২৩২টি আসনে।
আপাতদৃষ্টিতে সরকার গঠনের দৌড়ে মোদি এগিয়ে রয়েছে মনে হলেও মুহূর্তেই দৃশ্যপট পাল্টে যেতে পারে- যদি মিত্র দলগুলো জোট বদলের সিদ্ধান্ত নেয়।
এনডিএ’র দলগুলোর মধ্যে বিজেপির পরে বেশি আসনে এগিয়ে রয়েছে জনতা দল (ইউনাইটেড) এবং তেলেগু দেশম পার্টি। এই দু’টি দল অন্তত ৩০টি পেতে যাচ্ছে। কাজেই তারা এনডিএ থেকে বের হয়ে যদি রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোটে যোগদান করে, তাহলে কংগ্রেসের ক্ষমতায় যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে।
এই দল দু’টির ক্ষেত্রে এমন কথা বলা হচ্ছে, কারণ তারা মোদির জোট যাওয়ার আগে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধেছিল। এখন পুনরায় তাদেরকে জোটে ফেরাতে কংগ্রেস কী জোরালো কোনও প্রচেষ্টা চালাবে?
মঙ্গলবারের বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, আগামীকাল (বুধবার) আমাদের জোটের বৈঠক আছে। সেখানে আমরা জোটের শরীক দলগুলোর সঙ্গে এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিবো।
সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে যে, কংগ্রেস জোট সরকার গঠনের সম্ভাবনাকে একেবারেই নাকচ করছেন না।