বিশ্বকাপ শেষ করে আজ দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। শুক্রবার সকাল ৯ টা ৭ মিনিটে অ্যামিরেটসের ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছেছে তারা।
অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গেলেও প্রত্যাশিত সুফল পায়নি বাংলাদেশ। যেটুকু সফলতা সেটি তরুণ ও অনভিজ্ঞ ক্রিকেটার, বিশেষ করে বোলারদের কাছ থেকেই এসেছে। সবমিলিয়ে মিশন ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশের।
বিমানে বন্দরে এসে দলের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন তাসকিন আহমেদ। বিশ্বকাপ যাত্রা কেমন ছিল, দীর্ঘ যাত্রায় প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন ডানহাতি এই পেসার।
বাংলাদেশের ব্যাটাররা খারাপ করে। তবে এত লম্বা সময় ধরে তাদের খারাপ করতে দেখেননি তাসকিন। তিনি বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজে যাওয়ার পর একটু ভালো উইকেটে খেলছি আমরা। কিন্তু তাও আসলে, এত লম্বা…কখনোই আমি ক্রিকেট খেলার পর, বাংলাদেশ দলের হয়ে শেষ ১০ বছর ধরে খেলছি, কখনো এরকম লম্বা ব্যাটিংয়ে খারাপ সময় দেখি নাই। আশা করি এটা দ্রুতই কাটিয়ে উঠবে।’
তাসকিন বলেন, ‘দুইজন সিনিয়র ক্রিকেটার অফফর্মে থাকার প্রভাব দলের উপর অবশ্যই পড়েছে। তবে মাঠের বাইরে কোনো ধরনের প্রভাব পড়েনি। কারণ, মাঠের বাইরে তারা সবসময় ভালো টিমম্যান। আল্লাহর রহমতে এই যে ৪৭ দিনের মতো একসাথে ছিলাম, সবার আচরণ ভালো ছিল। সবাই একসাথে ছিলাম। মাঠের বাইরে সবই ঠিক ছিল। দলের প্রধান ক্রিকেটাররা অফফর্মে থাকলে সমস্যা হওয়াটাই স্বাভাবিক।’
বাংলাদেশ যেটুুকু সফলতা দেখিয়েছে সেটি বোলারদের পারফরম্যান্সের কল্যাণেই। বিশেষ করে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া তানজিম হাসান সাকিব ও রিশাদ হোসেন পারফরম্যান্স ছিল চোখে পড়ার মতো।
এ বিষয়ে তাসকিন বলেন, ‘অবশ্যই। মাশাআল্লাহ তানজিম সাকিব, রিশাদ এরা সেরা পাঁচ উইকেটশিকারীর মধ্যে ছিল। রিশাদ এখনও আছে। ওভারঅল ভালো করছে মাশাআল্লাহ। এটা খুব পজেটিভ সাইন বাংলাদেশ থেকে ফিউচার স্টাররা উঠে আসবে। অলরেডি বিশ্বকে বোঝানো হয়েছে যে আমাদের সবার মধ্যে ডিফারেন্ট অ্যাবেলেটি আছে।’