ইরানে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়া এবং তার দেহরক্ষীর জানাজা ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির নেতৃত্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইরানের নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানসহ দেশটির শীর্ষ নেতারাও এতে অংশ নেন। ইরানের রাষ্ট্রীয় প্রচারমাধ্যম প্রেস টিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। নামাজের পর তার মরদেহ আজাদী (স্বাধীনতা) চত্বরের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর কাতারের রাজধানী দোহায় তাকে দাফন করা হবে।
বুধবার (৩১ জুলাই) ইরানে গুপ্তহত্যার শিকার হন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া। নতুন ইরানি প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের অভিষেক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে তেহরানে গিয়েছিলেন তিনি।
বুধবার এক বিবৃতিতে হামাসের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, ইরানের রাজধানী তেহরানে হানিয়ার বাসস্থানে ‘ইহুদিবাদী গুপ্ত হামলার’ ঘটনা ঘটেছে। এতে ৬২ বছর বয়সী হামাসপ্রধান ও তার একজন দেহরক্ষী নিহত হয়েছেন।
ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলে সরাসরি হামলার নির্দেশ দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। গত বুধবার (৩১ জুলাই) ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের জরুরি বৈঠকে এ নির্দেশ দেন তিনি। ইরানের তিনজন শীর্ষ কর্মকর্তার বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস।