২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৬শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ছেলেকে গুমের পর পলাতক ঘোষণা, ডিআইজির বিরুদ্ধে বাবা খোকন কাজীর মামলা

সাবেক পুলিশ সুপার ও বর্তমানে রাজশাহী রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আনিসুর রহমানসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে যশোর শহরের শংকরপুরে সাইদুল ইসলাম সাঈদ নামে এক যুবককে অপহরণ ও গুমের অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) অপহৃত সাঈদের বাবা কাজী তৌহিদুল ইসলাম ওরফে খোকন কাজী বাদী হয়ে এ মামলা করেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করে ৭ দিনের মধ্যে আদালতকে অবহিত করার আদেশ দিয়েছেন কোতোয়ালি থানার ওসিকে।

আসামিরা হলেন, যশোরের সাবেক পুলিশ সুপার ও রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আনিসুর রহমান, এসআই এইচএম শহিদুল ইসলাম, এসআই আমির হোসেন, এএসআই হাসানুর রহমান, এসআই রাজন গাজী, এএসআই সেলিম মুন্সি, এএসআই বিপ্লব হোসেন, এএসআই সেলিম আহম্মেদ, টিএসআই রফিক, কনস্টেবল আরিফুজ্জামন, হাবিবুর রহমান, আবু বক্কার, ড্রাইভার মিজান শেখ, মাহমুদুর রহমান, টোকন হোসেন, যশোর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর গোলাম মোস্তফা, শহরের শংকরপুরের সাদেক দারোগার মোড় এলাকার মৃত রোস্তম আলীর ছেলে নুর ইসলাম নুরু, মৃত খলিল মিয়ার ছেলে আনিস, মুরগির ফার্ম এলাকার মৃত বাবলুর ছেলে অর্ক, রায়পাড়ার মৃত কাওছার আলীর ছেলে হাসমত, হোসেন আলীর ছেলে মাসুম ও গোলপাতা মসজিদ এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে খালেদুর রহমান চুন্নু।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ৫ এপ্রিল সকালে সাঈদ ও তার বন্ধু শাওন যশোর পৌরপার্কে বেড়াতে যান। তৎকালীন পুলিশ সুপার এ সংবাদ পেয়ে তার নির্দেশে অপর পুলিশ কর্মকর্তা ও কনস্টেবলরা সাঈদ ও শাওনকে গ্রেফতার করেন। সাঈদ ও শাওনের গ্রেফতার হওয়ার সংবাদ জানতে পেরে খোকন কাজী ও তার স্ত্রী দ্রুত পৌরপার্কের গেটে এসে দেখেন তাদের পুলিশ গাড়িতে ওঠাচ্ছে। সাঈদকে গ্রেফতারের বিষয়টি এসআই এইচএম শহিদুল ইসলামসহ অন্যদের কাছে জানতে চাইলে তারা থানায় এসে কথা বলতে বলেন।

তাৎক্ষণিক থানায় গেলে কর্তব্যরত পুলিশ সাঈদের মা ও বাবাকে থানায় ঢুকতে দেয়নি। থানার গেটে অবস্থানকালে সাঈদের মা ও বাবার কাছে ২ লাখ টাকা দাবি করে ছেড়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন এসআই এইচএম শহিদুল ইসলাম ও এসআই আমির হোসেন। অন্যথায় তাদের দুজনকে মেরে মরদেহ গুম করে দেবেন বলে হুমকি দেন।

কিন্তু ৭ এপ্রিল সাঈদের মা হিরা খাতুন পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারেন ছেলে সাঈদ ও তার বন্ধু শাওন পুলিশ হেফাজত থেকে পালিয়ে গেছে। পত্রিকার এ সংবাদের সত্যতা জানতে থানায় গেলে সাঈদের মা হিরার সঙ্গে খারপ ব্যবহার করে তাড়িয়ে দেয় পুলিশ। অপহৃত সাঈদের মা সংবাদ সম্মেলন করে ছেলেকে ফিরে পেতে প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। অপহৃত সাঈদের মা ও বাবার ধারণা পুলিশের দাবিকৃত ২ লাখ টাকা না দেওয়ায় সাঈদকে হত্যা করে মরদেহ গুম করে দিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় অপহৃত সাঈদের মা পুলিশ সুপারসহ পুলিশের ১৬ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন।

 

guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

এই বিভাগের আরও খবর

নিহত আইনজীবী সাইফুলের জানাজায় লাখো জনতার ঢল

চট্টগ্রামে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারীদের হাতে নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৭ নভেম্বর) বেলা পৌনে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে তার

খালেদা জিয়াসহ তিনজন বড়পুকুরিয়া মামলায় খালাস

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এবং ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি

মির্জা ফখরুল সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করবেন

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চলমান পরিস্থিতি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করবেন । বুধবার (২৭ নভম্বের) বিএনপির মিডিয়া

ইসকনদের পেছনে দেশের বাইরের ইন্ধন রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে ইসকন সমর্থকদের হামলা ও বিক্ষোভের পেছনে দেশ ও দেশের বাইরের ইন্ধন

Scroll to Top