কলেজছাত্রী মুনিয়া হত্যা মামলায় বসুন্ধধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরকে অব্যাহতি দিয়ে পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে পুনঃতদন্তের আবেদন সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের দ্বৈত বেঞ্চ গ্রহণ করেছেন।
২০২১ সালের ২৬ এপ্রিল গুলশানে জনৈক ইব্রাহিম আহমেদ রিপনের বাড়ির ফ্ল্যাট থেকে কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ফ্ল্যাট থেকে একটি ডায়েরি পাওয়া যায়, সেখানে মুনিয়ার সঙ্গে বসুন্ধরার এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের প্রেম, বিয়ের আশ্বাস, শারীরিক সম্পর্কসহ নানা বিষয়ে লেখা ছিল। ওই সময় গুলশান থানায় মুনিয়াকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার অভিযোগে আনভীরকে আসামি করে একটি মামলা হয়। কিন্তু সে মামলায় আনভীরকে অব্যাহতি দিয়ে গুলশান থানা পুলিশ ১৯ এপ্রিল চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। ১৮ আগস্ট ওই মামলায় পুলিশের দেওয়া প্রতিবেদন গ্রহণ করেন আদালত।
ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী ওই সময় পুলিশের প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে মুনিয়ার পরিবারের করা অনাস্থার আবেদনও খারিজ করে দেন। পরে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮-এ মামলা করেন মুনিয়ার বোন নুসরাত জাহান তানিয়া।
সে মামলায় অভিযোগ ছিল, মুনিয়াকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন বসুন্ধরার এমডি সায়েম সোবহান আনভীর। মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- আনভীরের মা আফরোজা বেগম, আনভীরের স্ত্রী সাবরিনা সোবহান, আনভীরের বাবা আহমেদ আকবর সোবহান শাহ আলম, শারমিন আহমেদ রাখি (বাড়ির মালিকের স্ত্রী), আনভীরের বান্ধবী সাইফা রহমান মীম, কথিত মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও বাড়ির মালিক ইব্রাহিম আহমেদ রিপন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগ।