সাকিব আল হাসান টেস্ট আর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন । সম্ভব হলে ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টটা খেলতে চান মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। আগামী অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এ সিরিজে তার খেলা নির্ভর করছে তার নিরাপত্তার ওপর।
এ নিয়ে ইতোমধ্যে বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানিয়ে সাকিব বলেন, এভাবেই ফারুক ভাইয়ের সঙ্গে ও নির্বাচকদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। যদি সুযোগ থাকে, আমি যদি দেশে যাই, খেলতে পারি, তাহলে মিরপুর টেস্ট হবে আমার জন্য শেষ। সেই কথাটা বোর্ডের সবার সঙ্গে বলা হয়েছে। তারা চেষ্টা করছেন কিভাবে সুন্দরভাবে আয়োজন করা যায়।
এদিকে ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, তার তথা বিসিবির পক্ষে নিরাপত্তা দেয়া সম্ভব নয়। নিরাপত্তার বিষয়টা সরকারের হাতে। বিসিবির হাতে নয়।
সাকিবের নিরাপত্তা ইস্যুতে বিসিবি প্রধান ফারুক আহমেদেরে ব্যাখ্যা, ‘এটা আমাদের বা বিসিবির হাতে না। নিরাপত্তা ইস্যুতে তার (সাকিবের) নিজের ডিসিশন নিতে হবে। বোর্ড থেকে এই মুহূর্তে কিছু বলতে পারবো না। ব্যক্তিগত একজনকে নিরাপত্তা দেয়ার এবিলিটি নাই আমাদের।’
নিরাপত্তা পেলে ঢাকায় শেষ টেস্ট খেলবে সাকিব, সে কথা প্রসঙ্গে ফারুক জানান, ‘আমি কোনো এজেন্সি না, পুলিশ বা র্যাব না। সরকারের তরফ থেকে নিরাপত্তার বিষয়টা আসতে হবে। এ মুহূর্তে বোর্ড থেকে এ সম্পর্কে কিছু বলা সম্ভব না। বোর্ড ব্যক্তিগতভাবে কাউকে নিরাপত্তা দিতে পারবে না আসলে।’
ফারুক যোগ করেন, ‘সাকিব ওর জীবনের কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সবদিক থেকেই। তাই আমার দিক থেকে ওর জন্য খুব বেশি কিছু বলার ছিল না। সাকিব যদি এখান থেকে শেষ টেস্ট খেলতে পারে, ওর মত আমিও বিশ্বাস করি এর থেকে ভালো কিছু হতে পারে না। ওকে নিরাপত্তা দেয়ার বিষয়টা উচ্চ পর্যায় থেকে আসতে হবে।’
রাজনৈতিক কারণে সাকিবের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। এছাড়া ছাত্র-গণআন্দোলনে সাকিব নিশ্চুপ থাকায় ভক্তদের একটা অংশ তার ওপর ক্ষিপ্ত। যদি শেষ পর্যন্ত তাকে নিরাপত্তার বিষয়ে বিসিবি নিশ্চয়তা দিতে না পারে, তাহলে শুক্রবার শুরু হতে যাওয়া কানপুর টেস্টই হতে যাচ্ছে সাকিবের ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট। দেশের মাটিতে লাল বলের ক্রিকেট থেকে বিদায় নেওয়ার ইচ্ছাটা তার অপূর্ণই থেকে যাবে।