অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নিহত সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার হত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার হবে। এ ছাড়া তার স্মৃতিকে ধরে রাখতে টাঙ্গাইলে তার জন্মস্থানে রাষ্ট্রীয়ভাবে কিছু করার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে নিহত লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ারের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের তথ্য উপদেষ্টা এ কথা বলেন। এ সময় তানজিম ছারোয়ারের বাবা সারোয়ার জাহান দেলোয়ার, মামা, বোন, ভাগনিসহ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, তানজিম ছারোয়ারের এ অকালমৃত্যু শুধু সেনাবাহিনীর জন্য নয়, দেশের জন্যও এক অপূরণীয় ক্ষতি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এই তরুণ ও মেধাবী কর্মকর্তা মানুষের জানমাল রক্ষার্থে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। তিনি তরুণদের কাছে দেশপ্রেমের প্রতীক হিসেবে বেঁচে থাকবেন।
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে তরুণ সেনা কর্মকর্তারা বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছিলেন উল্লেখ করে তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, তারা নিরীহ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। জনগণের পক্ষে তারা দাঁড়িয়েছিলেন এবং সেই দায়িত্বের জায়গা থেকে সেনাবাহিনী দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। দেশ রক্ষার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজও তারা করছেন।
তানজিম ছারোয়ার হত্যায় জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে আর কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে—গণমাধ্যমকর্মীদের এমন প্রশ্নের জবাবে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা এই হত্যাকাণ্ডের কঠোরতম শাস্তি নিশ্চিত করব। পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। এর সঙ্গে আরও কিছু আছে কি না, সেটি তদন্তের আগে বলা যাচ্ছে না। তবে এ ঘটনার সঙ্গে যে বা যারাই জড়িত থাকুক, তাদের বিচার হবে।’
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, সারা দেশের সব অবৈধ অস্ত্র এখন উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এগুলো পুনরুদ্ধার হবে। যত বাধা বিপত্তি থাকুক না কেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও যৌথ বাহিনী নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে, যাতে জননিরাপত্তা নিশ্চিত হয় এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক থাকে।
২৪ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের পূর্ব মাইজপাড়া এলাকায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন সেনা কর্মকর্তা তানজিম ছারোয়ার।