গাজীপুরের কালীগঞ্জে কথাকাটাকাটির জের ধরে বুধবার ইউনিয়ন বিএনপির আলোচনা সভা শেষে জাইদুল হক শ্যামল (৫২) নামে এক কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত শ্যামল মোক্তারপুর মধ্যপাড়া এলাকার মৃত ইঞ্জিনিয়ার গিয়াসউদ্দিন মিয়ার ছেলে। তিনি ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক কামালের বড় ভাই।
জানা যায়, বুধবার আসরের নামাজের পর মোক্তারপুর সেগুনতলা বাজারে ওয়ার্ড বিএনপির আলোচনা সভা হয়। সভা শেষে নেতাকর্মীরা একই গ্রামের গাজীপুর-আজমতপুর-ইটাখোলা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে শফিকুল মার্কেটে অবস্থান করছিলেন। এ সময় শামসুল হক কামাল মার্কেটে আসেন। তখন বিএনপি সমর্থক মনির হোসেনের সঙ্গে দলীয় কর্মকাণ্ড নিয়ে তার বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে উপজেলা কৃষকদলের সাবেক সহ-সভাপতি সেলিম মিয়া এবং বিএনপি সমর্থক শামসু মিয়া ও মনিরসহ তাদের কযেকজন সহযোগী মারমুখী হয়ে ওঠেন। এ সময় যুবদল নেতার বড় ভাই ঘটনাস্থলে গিয়ে কী হয়েছে জানতে চাইলে তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে তারা। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে জামালপুর নোবহা জেনারেল হাসপাতাল ও পরে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলাউদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। অভিযুক্তরা পালিয়ে গেছে। শ্যামলের একমাত্র মেয়ে সিলবিয়া (১২) বলে, চার বছর বয়সে মাকে হারিয়েছি। এরপর থেকে বাবাকে নিয়েই আমার জীবন। সন্ত্রাসীরা বাবাকে আমার কাছ থেকে কেড়ে নিল। আমি এখন কোথায় যাব। কাকে নিয়ে আমি বাঁচব। আমি এর বিচার চাই।