লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় এক কলেজ ছাত্রীকে পালাক্রমে গণধর্ষণের ঘটনায় ৬ ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
হাতীবান্ধা থানার পুলিশ জানান, ওই উপজেলার উত্তর গোতামারী এলাকার এক কলেজ ছাত্রীর সাথে দইখাওয়া বাজারের একজন কসমেটিক ব্যবসায়ী ও দক্ষিন গোতামারী এলাকার মোঃ দুলাল হোসেনের পুত্র মোঃ আব্দুর ছাত্তারের সাথে ভালোবাসার সর্ম্পক গড়ে উঠে। এক পযার্য়ে ওই কলেজ ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন আব্দুর সাত্তার। আবার বন্ধুকে দিয়ে সেই ধর্ষণের ভিডিও ধারন করান তিনি। ভুক্তভোগী মেয়েকে সেই ভিডিও দিয়ে ভয় দেখিয়ে আব্দুর সাত্তার ও তার এক বন্ধু ওই কলেজ ছাত্রীকে পুনরায় আবার ধর্ষণ করে।
গত বৃহস্পতিবার একই কায়দায় ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ওই কলেজ ছাত্রীকে নওদাবাস ইউনিয়নের অন্যতম শালবনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও আব্দুর ছাত্তার ও তার বন্ধুরা পালক্রমে ওই কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষণ করেন এবং সেই ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও করেন। এ সময় ওই ছাত্রী অসুস্থ হলে ধর্ষকরা তাকে রেখে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করেন।
শুক্রবার রাতে এ ঘটনায় ওই কলেজ ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে স্থানীয় হাতীবান্ধা থানায় একটি মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় দক্ষিন গোতামারী এলাকার দুলাল হোসেনের পুত্র আব্দুর ছাত্তার, দইখাওয়া বাজার এলাকার সুলতান আহম্মেদের পুত্র রোকন, ৫ নং ওয়ার্ডের আইয়ব আলীর ছেলে রাকিবুল, একই এলাকার খবির আলীর ছেলে আল আমিন, নজিমুদ্দিনের ছেলে রতন মিয়া সাবু, নওদাবাস এলাকার ওসমান গনির পুত্র সুলতানকে শনিবার সকালে গ্রেপ্তার করেন হাতীবান্ধা থানা পুলিশ।
হাতীবান্ধা থানার ওসি মাহমুদুন-নবী গনমাধ্যমকে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসামীদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি ওই কলেজ ছাত্রীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
রুমন হোসেন জিলহজ্ব
লালমনিরহাট জেলা বিশেষ প্রতিনিধি