সরকার কর্তৃক গঠিত কমিটি সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর সুপারিশের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে । প্রতিবেদনে চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তিনি বলেন, কমিটির সুপারিশের প্রতিবেদন গত মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে জমা দেওয়া হয়েছে। এ প্রতিবেদন নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় আলোচনা হবে। সেখানে চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
কমিটির সদস্য সদ্য জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সচিব হিসেবে পদোন্নতি পাওয়া (আগের অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম প্রতিবেদন জমা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
যদিও কমিটি কী সুপারিশ করেছে, সে বিষয়ে তিনি কোনো তথ্য জানাতে চাননি।
তবে কমিটি সূত্রে জানা গেছে, কমিটি সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর বিষয়ে সুপারিশ করেছে। উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আলাপ-আলোচনার পর সেটি চূড়ান্ত হতে পারে। চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে সাধারণ চাকরিপ্রার্থীদের বয়সসীমা বেড়ে ৩২ বছর হতে পারে।
বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে সাধারণ প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়স ৩০ এবং মুক্তিযোদ্ধা কোটার প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৩২ বছর।
সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর নির্ধারণের দাবিতে অনেকদিন ধরে আন্দোলন করছেন চাকরিপ্রার্থী ও শিক্ষার্থীরা। গত ৩০ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন আন্দোলনরতরা। তাদের সরিয়ে দিতে কাঁদানোগ্যাস এবং সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ। এরপরও তারা সেখানে অবস্থান নেন। পরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন আন্দোলনকারীরা।
পরে ওইদিনই সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবির বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যালোচনা করে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য একটি কমিটি গঠন করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
সাবেক সচিব ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী এ কমিটির আহ্বায়ক। কমিটির সদস্য সচিব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান।
কমিটিতে সাবেক যুগ্মসচিব কওছার জহুরা, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ইকবাল ও তৎকালীন অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সদস্য হিসেবে ছিলেন। কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছিল।