পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম জানিয়েছেন, পূজা নিয়ে কোনো ধরনের অপতৎপরতা ও বিশৃঙ্খলা সহ্য করবো না, সহ্য করছি না। এরই মধ্যে গুটিকয়েক ছোট ছোট ঘটনার প্রেক্ষিতে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছি, আইনি প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।
নারায়ণগঞ্জ শহরের রামকৃষ্ণ মিশন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। একই সঙ্গে এদিন তিনি শ্রী শ্রী বলদেব জিউর আখড়া পরিদর্শনে যান।
আইজিপি বলেন, পূজা নিয়ে অনেকের মনে শঙ্কা ছিল। সেই শঙ্কা দূর করে সম্প্রীতির বাংলাদেশের প্রমাণ এই পূজা উদযাপন। সারাদেশে ৩২ হাজারের অধিক মণ্ডপে উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে পূজা উদযাপন হচ্ছে। যার যার ধর্ম অনুযায়ী ধর্মীয় উৎসব পালন করবে, এটা সাংবিধানিক অধিকার।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ, র্যাব, কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ, তিনটি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন রয়েছে যেন কোনো বিশৃঙ্খলা না হয়। যারা অপতৎরতা চালাতে চায় তারা আমাদের পরীক্ষা করে দেখতে চায় কোনো গ্যাপ আছে কি না। আমরা সজাগ আছি। আমরা সবাই তৎপর, আশা করছি কোথাও কিছু ঘটবে না। যদি কোথাও ঘটে আমরা বলিষ্ঠ প্রদক্ষেপ নেবো।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মো. ময়নুল ইসলাম বলেন, এই নারায়ণগঞ্জে তথাকথিত গডফাদারসহ অনেকেই তৎপরতা চালিয়েছে সন্ত্রাসের জনপদ করার জন্য। আমরা সেই গডফাদারদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, যারা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করবে, সন্ত্রাসকে লালন-পালন করবে, চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্ম করার চেষ্টা করে, তারা যেন এই পথে পা না বাড়ায়। সেই সন্ত্রাসী এখন আর নেই।
আইজিপি বলেন, এই নারায়ণগঞ্জে ত্বকী হত্যার তদন্ত কার্যক্রম দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। আমরা সেই তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছি। আমাদের সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়েছে। ডিজিটাল মাধ্যমে বিভিন্ন গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। যারা অপরাধী তারা এই অপতৎপরতা চালিয়ে থাকে। আমরা তাদের আইনের আওতায় আনছি।
এসময় র্যাব-১১ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা, নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) প্রত্যুষ কুমার মজুমদার, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের উপদেষ্টা প্রবীর কুমার সাহা ও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।