প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ ওঠা ১২ বিচারপতিকে বাদ দিয়ে হাইকোর্টের ৫৪টি বেঞ্চ পুনর্গঠন করেছেন ।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এসব বেঞ্চে আগামী রোববার (২০ অক্টোবর) থেকে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকাজ পরিচালনা কার হবে।
এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতির পৃথক আদেশ সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
হাইকোর্টে সবশেষে ২৩ জন বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হয় । এর মধ্যে দুজনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। এছাড়া ছাত্রদের দাবির মুখে অতীতে নিয়োগ পাওয়া ১২ বিচারপতিকে বেঞ্চের বাইরে (বিচারকাজ থেকে) রাখা হয়।
এর আগে গত ১৬ অক্টোবর উচ্চ আদালতের ওই ১২ বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।
সেদিন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা গণমাধ্যমকে জানান, ১২ জন বিচারপতিকে বেঞ্চ দেওয়া হচ্ছে না। এর মানে হচ্ছে, তারা বিচারকাজ পরিচালনা করতে পারবেন না। আর বিচারপতিদের পদত্যাগের যে দাবি, এক্ষেত্রে-বিচারক নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি, আবার অপসারণও করেন রাষ্ট্রপতি। এখানে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির যা করণীয় তিনি তা করেছেন। আর ২০ অক্টোবর অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস বিষয়টি আদালতে উত্থাপন করবে। পর্যায়ক্রমে কী হয় সেটা জানা যাবে।
নানান অনিয়মের অভিযোগ ওঠা হাইকোর্টের ওই ১২ বিচারপতিকে চায়ের আমন্ত্রণ জানান প্রধান বিচারপতি। পরে তাদের ছুটিতে পাঠানো হয়।
ছুটিতে যাওয়া ১২ বিচারপতির মধ্যে রয়েছেন- নাঈমা হায়দার, খুরশীদ আলম সরকার, মো. আতাউর রহমান খান, খিজির হায়াত, শাহেদ নূর উদ্দিন, এস এম মনিরুজ্জামান, মো. আখতারুজ্জামান, খোন্দকার দিলিরুজ্জামান, মো. আমিনুল ইসলাম, এস এম মাসুদ হোসেন দোলন, আশীষ রঞ্জন দাস ও শেখ হাসান আরিফ।