বুধবার দুপুরে প্রেস ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের অনুদান চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে, অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ছাত্রদের তাদের রাজনৈতিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে আমাদের সর্বপ্রথম কর্তব্য। আমি মনে করি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সর্বপ্রথম বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজন করবে, যেকোনো জাতীয় বা অন্য কোনো নির্বাচনের আগে।
উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, ছাত্ররা দেশের ভালো চায় এবং দেশকে পুনর্গঠন করতে চায়। এজন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সহায়তা তারা কামনা করছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র রাজনীতি সংস্কার দাবি প্রবলভাবে উঠেছে। কিন্তু কোনো রাজনৈতিক দলই সেটি অ্যাড্রেস করছে না। জাতীয় নির্বাচনের কথা রাজনৈতিক দলগুলো যতবার বলেছে, ছাত্র সংসদ নির্বাচনের কথা তারা একবারের জন্যও বলেনি। ছাত্রদের কথা কিন্তু অবশ্যই মনে রাখতে হবে। তাদের সর্বোচ্চ প্রায়োরিটি দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, নতুন বাংলাদেশে আমাদের চেয়ে তরুণ, সেই তরুণদের বড় একটা ভূমিকা থাকতে হবে। আমাদের কর্মসংস্থানের কথা চিন্তা করতে হবে। কর্মসংস্থানের জন্যই কিন্তু এই আন্দোলনটা শুরু হয়েছে। ফলে আমাদের আন্দোলনের যে ডায়নামাইট ছিল, সেটা যাতে ভুলে না যাই। আন্দোলনটা কিন্তু ছাত্ররা শুরু করেছিল, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শুরু করেছিল। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিয়ে আমাদের ভাবনা কী, রাজনৈতিক দলগুলোর ভাবনা কী; সেই কথা কিন্তু কেউ বলছে না। ছাত্ররা নেতৃত্ব দিয়েছে, রক্ত দিয়েছে। অথচ সেদিন পত্রিকা দেখলাম একটি রাজনৈতিক দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেছেন, ছাত্রদের সঙ্গে কেন আলোচনা করতে হবে, সরকার আমাদের ডাকুক। ফলে এই ধরনের বক্তব্য খুবই দুঃখজনক।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবা ফারজানা, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক (ডিজি) ফারুক ওয়াসিফ, তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা নিজামুল কবীর, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ ও সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্যরা প্রমুখ।