আবু হেনা মোহাম্মদ (আ হ ম) মুস্তফা কামাল কুমিল্লা-১০ আসনের পাঁচবারের এমপি । বিশেষজ্ঞ এই অর্থনীতিবিদ অর্থমন্ত্রী হয়ে ডুবিয়েছেন দেশের অর্থনীতিকে। মেগা প্রকল্প নিয়ে দুর্নীতি, শেয়ারবাজার কারসাজি, আদম ব্যবসায়, টেন্ডারবাজী, তদবির, নিয়োগ বাণিজ্য, পদোন্নতি ও বদলি বাণিজ্য করে হাতিয়েছেন কোটি কোটি টাকা।
অবৈধভাবে অর্জিত টাকা পাচার করে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুরসহ কয়েকটি দেশে স্বজনের নামে হাজার কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন বলে অভিযোগ আছে।
জানা যায়, পরিকল্পনামন্ত্রী থাকাকালে কুমিল্লাকে অন্তর্ভুক্ত করার শর্তে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন প্রকল্প অনুমোদন করেন। বাড়ির পাশে সাড়ে ১০ একর জমিতে ৫৩৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ের এ প্রকল্প কোনো কাজেই আসেনি সাধারণ মানুষের। তবে এই প্রকল্পের কাজ নিজের সিন্ডিকেট দিয়ে করিয়ে নিয়েছেন মোটা অঙ্কের কমিশন। একইভাবে ২০২৩ সালে সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে দিয়ে ৭ দশমিক ৮৮ একর জমিতে প্রায় ১৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে করিয়ে নেন নলেজ পার্ক। জমি অধিগ্রহণ শেষে সীমানা দেয়াল ছাড়া কিছুই হয়নি পার্কের।
২০১৩ থেকে এ বছরের জুলাই পর্যন্ত কুমিল্লা সদর দক্ষিণ, নাঙ্গলকোট ও আদর্শ সদর উপজেলায় ৪২টি খাল খনন প্রকল্পে সাড়ে ১৯ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ আসলেও পুরোটাই আত্মসাৎ করেছে তার সিন্ডিকেট। এ ঘটনায় মামলাও হয়েছে।
শেয়ারবাজার কারসাজি করেও কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। ২০১০ সালের শেয়ারবাজার ধসের পর তদন্তে তার কোম্পানির শেয়ার কারসাজির তথ্য উঠে আসে। এতে দেখা যায় স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা, রাইট শেয়ার বিক্রি, ১০০ টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ারকে ভেঙে ১০ টাকার ১০টি শেয়ারে রূপান্তর করে ১৬ গুণ দাম বাড়িয়েছিলেন তার প্রতিষ্ঠান সিএমসি কামাল টেক্সটাইল নামের কোম্পানির। তবে ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি।