মোস্তফা সরয়ার ফারুকী জনপ্রিয় নির্মাতা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের শুরু থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় ছিলেন ফারুকী।
সোমবার ফেসবুকে পোস্টে ফারুকী লেখেন, অনেকে আশা করেছিলেন আওয়ামী লীগের উপলব্ধি হবে। তারা অনুশোচনায় ভুগবে, বিচার পর্ব পার হয়ে নতুন রাজনীতি নিয়ে আসবে মানুষের সামনে।
আর ওদিকে আওয়ামী লীগ আশা করছে বাংলাদেশের মানুষের উপলব্ধি হবে যে তাদের আমাদের কতোটা দরকার। তারা কল্পনায় দেখতে পাচ্ছে আমরা তাদের মিস করছি। কি বিস্ময়কর!!!
আসুন আমরা একটু কল্পনা করার চেষ্টা করি তাদের আমাদের কেনো দরকার।
এই জুলাই হাজারের বেশী তরুণ-কিশোর-ছাত্র-ছাত্রীকে খুন করেছে। আরো কয়েক হাজার খুন করার জন্য তাদের দরকার? সরকারের শীর্ষ নেতৃত্বের সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতায় নিজের ক্যাশিয়ার মারফত ব্যাংক লুট করে লক্ষ কোটি টাকা পাচার করেছে, যেটাকে দুনিয়ার সবচেয়ে বড় ব্যাংক ডাকাতি বলা হচ্ছে। আরো দশটা ব্যাংক লুটের জন্য দরকার?
মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা চুরির জন্য দরকার? কুইক রেন্টালের নামে কুইক ডাকাতির জন্য দরকার? অসম এবং অবিশ্বাস্য চুক্তির জন্য দরকার?
এই দফায় দলের সব নেতাকে সমান প্রশ্রয় দেওয়া যায় নাই। সামনের দিনে নিশ্চিত করা হবে জাভেদের মতো সবাই যেনো বিদেশে কম-সে-কম ৩৬৫টা বাড়ি কিনতে পারে। কোনো বৈষম্য করা হবে না। এই জন্য দরকার?
এক যুগের বেশী সময় ধরে শত শত মানুষকে গুম করেছে। আরো কয়েক হাজার গুম করার জন্য দরকার? আরেকটা বিডিআর কার্নেজের জন্য দরকার?
তার মানে কি এখন যা হচ্ছে সব ঠিক? অ্যাবসোলিউটলি নট। নির্বাচিত সরকার আসার আগ পর্যন্ত সবাই নিজেকেই সরকার ভেবে অনেক উল্টাপাল্টা কাজ করছে। কেউ কেউ অনলাইন-অফলাইনে বিভেদ উস্কে ঘোলা পানিতে মাছ ধরতে চাইছে। এই সরকারের ১০০০ বিষয়ে আমার নিজেরই সমালোচনা আছে। কিন্তু আমি বাস্তবতাটাও বুঝি। ১৬ বছরে সব সিস্টেম দলীয় লুটপাট আর ক্ষমতা টিকায়ে রাখার কাজে যখন ব্যবহৃত হয়, তখন যে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়, তাদের আসলে সালাম করা উচিত। আমি প্রফেসর ইউনুসকে সালাম জানাই আমাদের বর্জ্য পরিষ্কারের চ্যালেন্জ গ্রহণ করার জন্য। ওয়াকার সাহেব এবং সেনাবাহিনীর সদস্যদের সালাম জানাই জনতার হয়ে এই কাজ করার জন্য। তারা আরামেই থাকতে পারতেন হাসিনার সুবিধা খেয়ে।