সব ধরনের ঋণ শ্রেণিকরণের ক্ষেত্রেই এই বিধান প্রযোজ্য হবে, বর্তমানে ঋণ ভেদে ৩ মাস বা ৬ মাস পর ঋণখেলাপি হচ্ছে, ৩ মাস কমানোর ফলে খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা
খেলাপি ঋণের সংজ্ঞা আরও কঠোর করা হয়েছে। নতুন সংজ্ঞা অনুযায়ী কোনো ঋণ বা ঋণের কিস্তি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধিত না হলে পর দিন থেকেই মেয়াদোত্তীর্ণ হবে। পরিশোধ বা নবায়ন করা না হলে ৩ মাস পর্যন্ত ঋণ মেয়াদোত্তীর্ণ থাকবে। ৩ মাস পর থেকে তা খেলাপি হিসাবে চিহ্নিত হবে। আগে ঋণের ধরন অনুযায়ী বিভিন্ন সময়ে খেলাপি হিসাবে চিহ্নিত করা হতো। এখন সব ধরনের ঋণই ৩ মাস মেয়াদোত্তীর্ণ থাকার পর পরিশোধিত বা নবায়ন করা না হলে তা খেলাপি হয়ে যাবে। বর্তমানে মেয়াদি ঋণসহ কিছু ঋণ খেলাপি হচ্ছে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার ৬ মাস পর। ফলে ঋণখেলাপি হওয়ার সময় ৩ মাস কমে গেল। এতে আগামীতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। নতুন এ নির্দেশনা আগামী বছরের ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশের খেলাপি ঋণের সংজ্ঞা নিয়ে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ), বিশ্বব্যাংকসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো আপত্তি করে আসছে। কারণ আন্তর্জাতিকভাবে কোনো ঋণ পরিশোধের দিন থেকে ৩ মাসের মধ্যে শোধ করা না হলে তাকে খেলাপি হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু গত সরকারের সময়ে খেলাপি ঋণ কমিয়ে দেখাতে বাংলাদেশে এটি ৬ মাস করা হয়েছে। মেয়াদী ঋণের ক্ষেত্রে ৯ মাস করা হয়েছিল। পরে আইএমএফের আপত্তির কারণে কিছু ঋণের ক্ষেত্রে ৩ মাস করা হলেও কৃষি ও মেয়াদি ঋণের ক্ষেত্রে ৬ মাস করা হয়। যা এখন পর্যন্ত বহাল রয়েছে।