বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ইসকনকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, একটা সংগঠন সম্প্রতি যা করছে, আমি তাদের নামও নিতে চাই না। দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে তাদের শাখা আছে। একমাত্র বাংলাদেশ ছাড়া আর কোন দেশে তারা দাবি নিয়ে মিছিল, লং মার্চের ঘোষণা দেয় না। কেন এখানে (বাংলাদেশ) করা হয়। এত বছর ধরে যে নির্যাতন, নিপীড়ন করেছে, তখন কোনো প্রতিবাদ না করে শেখ হাসিনার পতনের পরপর নতুন সরকার আসার সঙ্গে সঙ্গে এই আন্দোলনটা কেন করতে হবে।
রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে শুক্রবার বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং ‘ফ্যাসিবাদ ও তার দোসরদের মোকাবিলায় আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
‘তারা এদেশের মানুষ হয়ে ভারতের সরকারের কাছে অনুরোধ জানায় এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। বাংলাদেশ কারও অধীনে নাকি যে ব্যবস্থা নেবে। আর তারাও (ভারত) বিবৃতি দেয়। ’
‘এই যে জুলাই আগস্টে হাজারও মানুষকে মেরে ফেলা হয়েছে, এই নিয়ে তো কোন বিবৃতি দেখলাম না। অ্যাডভোকেটকে মেরে ফেলা হলো, এই নিয়ে তো কোন বিবৃতি নেই। একজনকে গ্রেফতার করলে বিবৃতি দিবেন, আর হাজার হাজার মানুষকে খুন করলে বিবৃতি দিবেন না এটা পক্ষপাতমূলক।’
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির মোহাম্মাদ আজম খান। এ সময় বক্তৃতা করেন সংগঠনের মহাসচিব মুফতি ফখরুল ইসলাম, যুগ্ম মহাসচিব মুফতি এনায়েত উল্লাহ হাফেজজী প্রমুখ।